Saturday, 19 April 2025

বিনিয়োগের নতুন পথ খুলতে চাই: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

 বিনিয়োগের নতুন পথ খুলতে চাই: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, আমাদের অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠান আছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী এবং সংস্কার করতে পাবলিক প্রাইভেট অথবা জিটুজি পদ্ধতির বিনিয়োগ চাই।



আমরা বিনিয়োগের নতুন পথ খুলতে চাই।

রোববার (২৩ মার্চ) ডাক ভবনে ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার সাক্ষাৎ করতে এলে বিশেষ সহকারী এ কথা বলেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরীসহ দপ্তর সংস্থার প্রধানরা সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন।


সোমবার (২৪ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মাইকেল মিলার নীতিকাঠামো, ইইউর বিনিয়োগ, প্রকল্পে অর্থায়নসহ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে কথা বলেন। ইইউ বাংলাদেশের অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য উন্নয়ন অংশীদার তাই বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে উল্লেখ করেন মিলার।


ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, আমরা ডিজিটাল রূপান্তরের মাস্টার প্ল্যান এবং আইসিটি রোডম্যাপের খসড়া সংস্করণ প্রস্তুত করেছি এবং অনুরূপ রোডম্যাপ প্রতিটি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য জাতির কাছে উপস্থাপন করা হবে। আমরা ১০টি স্তম্ভকে লক্ষ্য ধরে এগোচ্ছি, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে সরকারি সেবাগুলোর ডিজিটালাইজেশন, বিকেন্দ্রীকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি।


ডেটা এক্সচেঞ্জ এবং ডেটা গভর্নেন্স সম্পর্কে আমাদের খুব বড় দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, আমরা ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্টে গুরুত্ব দিচ্ছি বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এর বাইরে সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ এবং ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন নিয়েও কাজ চলছে বলে তিনি জানান।


রাষ্ট্রদূত মিলার ডিজিটাল রূপান্তরের কৌশল সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশেষ সহকারী বলেন, ডিজিটাল রূপান্তরের কৌশল এর মাস্টার প্ল্যানের ক্ষেত্রেও স্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নেওয়া হবে। আশা করছি এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে এটি একটি রূপ পাবে।


বিশেষ সহকারী বলেন, ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন নিয়ে আরও কিছুদিন কাজ চলবে তারপর আমরা চারটি স্তরে জনসাধারণের মতামত গ্রহণ করব। প্রথমত আমরা ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলব, এরপর স্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধি মানবাধিকার সংস্থা ও গণমাধ্যম কর্মী এবং সর্বশেষ আন্তঃমন্ত্রণালয়ের পরামর্শ ও মতামত গ্রহণ করা হবে। আইসিটি এবং সাইবার সম্পদগুলোর মানোন্নয়ন আমাদের লক্ষ্য। পাশাপাশি আমরা শুধুমাত্র সরকারি সংস্থার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সরকারি কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্ত করতে চাই। এর পাশাপাশি, আমরা সিআইআই (ক্রিটিক্যাল ইনফরমেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার) এর ওপর ফোকাস করছি। আমরা কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির দিকে গুরুত্বারোপ করছি। এক্ষেত্রে ইইউ এবং ই-গভর্নেন্স টিমের কাছ থেকে প্রশিক্ষণের প্রস্তাব প্রত্যাশা করছি। প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগের জন্য‌ও তিনি ইইউ রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান জানান।


রাষ্ট্রদূত মিলার ব্রাসেলসে আসন্ন গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে অংশগ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীকে আমন্ত্রণ জানান।

৭০০ ব্যান্ডে নিলাম: বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগের জবাব দিল সরকার

 ৭০০ ব্যান্ডে নিলাম: বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগের জবাব দিল সরকার

দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে বিনিয়োগ ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের স্বার্থে ৭০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের নিলামে শর্তসাপেক্ষে ১০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড়ের ইঙ্গিত দিয়েছে সরকার। সেইসঙ্গে স্পেকট্রামের দাম নির্ধারণের বেঞ্চমার্ক ডলারে হওয়াকে বাস্তবসম্মত বলা হয়েছে।



৭০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে স্পেকট্রাম নিলামের মানদণ্ড নিয়ে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের জানানো উদ্বেগের জবাবে বিভিন্ন বিষয়ের প্রেক্ষাপট ও ব্যাখ্যসহ এক চিঠিতে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।  

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) এই চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, ‍যিনি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন।  


এর আগে ১৬ মার্চ গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের মূল বিনিয়োগকারীরা ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন। বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, ৭০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের ডিভাইস প্রবৃদ্ধির নিম্নহার বিবেচনায় রেখে সরকার ৫%–১০% মূল্যছাড়ের বিষয়টি যৌক্তিকভাবে বিবেচনা করতে পারে, যা নির্ভর করবে অপারেটরদের অবকাঠামো উন্নয়ন, নাগরিকদের জন্য মানসম্মত সেবা ও প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণের প্রতিশ্রুতির উপর।


স্পেকট্রাম মূল্য নিয়ে বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগের প্রসেঙ্গ তিনি উল্লেখ করেছেন, গত তিন বছরে বাংলাদেশি টাকা মার্কিন ডলারের বিপরীতে প্রায় ৪০% অবমূল্যায়িত হয়েছে। এই মুদ্রা অবমূল্যায়ন বিবেচনায় নেওয়ার পর বর্তমান স্পেকট্রাম মূল্যায়ন বাজার পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রয়েছে। ‘বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিদেশি মালিকানা রয়েছে এবং বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত তাদের মুনাফা মার্কিন ডলারে রেমিট্যান্স করে থাকে। ফলে, স্পেকট্রামের মূল্য নির্ধারণে ডলারভিত্তিক মূল্যায়নকে কার্যকর পদ্ধতি, যা মুদ্রা বিনিময় ঝুঁকি কমাবে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখবে। ’ বলেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।


চিঠিতে বলা হয়, অপারেটরদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে স্পেকট্রাম সরবরাহ করাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখে মন্ত্রণালয়। বর্তমানে ৪৫ (২x৪৫) মেগাহার্টজ ব্যান্ডের মধ্যে মাত্র ২৫ (২x২৫) মেগাহার্টজ নিলামে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিষয়ে যে উদ্বেগ রয়েছে, তাও সরকার গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে। বাকি স্পেকট্রাম যথাসময়ে দেয়ার বিষয়ে তারা কাজ করছেন যেন, এটি প্রযুক্তিগত ও বাণিজ্যিকভাবে টেকসই হয়।


ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ফোরজি ও ফাইভজি প্রযুক্তির বিস্তারে ৭০০ ব্যান্ড একটি প্রিমিয়াম ফ্রিকোয়েন্সি, যা প্রযুক্তিগত নিরপেক্ষতার সুবিধা দেয়। বৃহৎ কভারেজ পরিধি ও নিম্ন ফ্রিকোয়েন্সির কারণে এই ব্যান্ডটি ফোরজি, ফাইভজি এবং আইওটি নেটওয়ার্ক স্থাপনার জন্য অত্যন্ত কার্যকর। বর্তমানে, সামগ্রিক ফোরজি হ্যান্ডসেটের প্রায় ৫০% ডিভাইস ৭০০ ব্যান্ড সমর্থন করে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়াতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি নিয়েছে। ফলে দেশীয় উৎপাদক এবং আমদানিকারকরা এখন থেকে এমন কোনো নতুন মোবাইল হ্যান্ডসেট বাজারে আনতে পারবে না, যা ৭০০ ব্যান্ড সমর্থন করে না।


তিনি আশা করেন, সরকারের এই উদ্যোগ আগামী কয়েক প্রান্তিকের মধ্যে ৭০০ ব্যান্ডে সমর্থিত ডিভাইসের প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াবে, যা ভবিষ্যৎ ফাইভজি সম্প্রসারণ ও ডিজিটাল সংযোগ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বাংলাদেশে মোবাইল অপারেটরদের বিভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডের ব্যবহারের মধ্যে বৈষম্য রয়েছে। নিম্ন-ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডগুলোর ব্যবহার হার ৮৪%–৯৮%, যেখানে উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডগুলোর ব্যবহার তুলনামূলকভাবে কম, মাত্র ৭%–১৮%। এই অসমতা নির্দেশ করে যে, উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে নির্ধারিত এলাকায় সক্ষমতা বৃদ্ধির যে প্রত্যাশা ছিল, তা এখনো পূরণ হয়নি। এর অন্যতম কারণ, যথাযথভাবে বেজব্যান্ড ইউনিট এবং রেডিও রিসোর্স ইউনিট স্থাপনে ঘাটতি রয়েছে, ফলে ধারাবাহিক সক্ষমতা স্তর তৈরি হয়নি। এতে মানসম্মত সেবার ক্ষেত্রে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। ফলে গ্রাহকরা নিম্নমানের সেবার পাচ্ছেন, যার মধ্যে ধীরগতির ইন্টারনেট, দুর্বল সংযোগের স্থায়িত্ব, মোবিলিটি ও কলড্রপের হার বৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য। এছাড়া উচ্চমূল্যের ইন্টারনেট প্যাকেজের কারণে ইন্টারনেট ব্যবহারের হার বৃদ্ধির পথে বাধা তৈরি হয়েছে। উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডগুলোর নিম্ন ব্যবহারের পরিপ্রেক্ষিতে অপারেটররা এখনও গ্রাহকদের জন্য উপযুক্ত মূল্যে ইন্টারনেট প্যাকেজ সরবরাহে আগ্রহ দেখায়নি। পাশাপাশি, জাতীয় ইন্টারনেট প্যাকেজের খুবই স্বল্প মেয়াদি ভ্যালিডিটি ব্যাপক সমালোচনা তৈরি করছে। এটি এমন একটি পরিকল্পিত দুষ্টচক্রের ইঙ্গিত দেয়, যেখানে অপারেটররা কৃত্রিমভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রবৃদ্ধি সীমিত রেখে চলেছে।


ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, জাতীয় সম্পদ হিসেবে স্পেকট্রামের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে, নিরবচ্ছিন্ন ক্যাপাসিটি লেয়ার তৈরিতে বেজব্যান্ড ইউনিট এবং রেডিও রিসোর্স ইউনিট স্থাপন, ইন্টারনেট খরচ কমানো এবং ডিজিটাল বৈষম্য হ্রাসে সরকার এই খাতের সবার সঙ্গে কার্যকর আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

ঈদের দিন থেকে টেলিটকের ডাটা প্যাকেজের দাম কমছে

 ঈদের দিন থেকে টেলিটকের ডাটা প্যাকেজের দাম কমছে 



রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড গ্রাহকদেরকে সাশ্রয়ী মূল্যে দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেট সুবিধা দিতে সর্বদা সচেষ্ট থাকে।


শুক্রবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সম্প্রতি সরকারের সিদ্ধান্তের আলোকে বাংলাদেশ সাবমেরিন কোম্পানি লিমিটেড তাদের ব্র্যান্ডউইথ ভাড়া ১০ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।


এ ভাড়া হ্রাসের সুবিধা গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষে টেলিটক তার বিদ্যমান অধিকাংশ ডাটা প্যাকেজের দাম ১০ শতাংশ হ্রাস করছে, যা ঈদের দিন থেকে কার্যকর করা হবে এবং তা পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। আশা করা যাচ্ছে ডাটা ট্যারিফ হ্রাসের ফলে মোবাইল ডাটা গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।  

পাশাপাশি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে টেলিযোগাযোগ সেবা পৌঁছানোর জন্য হাওর ও দ্বীপাঞ্চলে টেলিটক নেটওয়ার্ক বিস্তার করেছে। দেশে ৪জি প্রযুক্তির বিস্তার এবং ৫জি প্রযুক্তি চালুর ব্যবস্থা  গ্রহণ করা হচ্ছে যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। এছাড়া, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, ই-গভর্নেন্স ও ই-কমার্স খাতে টেলিটকের অবদান ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি ব্যান্ডউইথ খরচ হ্রাস করার ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত হবে।  


টেলিটক সবসময় গ্রাহকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে পণ্য ও সেবা পরিকল্পনা গ্রহণ করে থাকে। একইসঙ্গে টেলিটক উন্নত নেটওয়ার্ক সেবা নিশ্চিত করতেও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।


বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: www.teletalk.com.bd অথবা ১২১ গ্রাহক সেবায় কল করুন।

সৌদি কোম্পানির সঙ্গে একীভূত হয়ে বড় বিনিয়োগ পাচ্ছে শপআপ

 সৌদি কোম্পানির সঙ্গে একীভূত হয়ে বড় বিনিয়োগ পাচ্ছে শপআপ



মধ্যপ্রাচ্যে ব্যবসা বাড়াচ্ছে বাংলাদেশের বৃহত্তম বিজনেস-টু-বিজনেস বাণিজ্য প্ল্যাটফর্ম স্টার্ট-আপ কোম্পানি শপআপ। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম সম্পদশালী দেশ সৌদি আরবভিত্তিক প্রযুক্তিনির্ভর সরবরাহকারী কোম্পানি ‘সারি’-এর সঙ্গে একীভূত হয়ে নতুন কোম্পানি গঠন করেছে শপআপ।


নতুন সেই কোম্পানির নামকরণ করা হয়েছে ‘সিল্ক’ গ্রুপ।  

আর নতুন গ্রুপ গঠনের পর পরই ১১০ মিলিয়ন ডলারের বড় বিনিয়োগ পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা। ‘সিল্ক’ গ্রুপের মাধ্যমে সৌদি বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের প্রবেশ সহজতর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।  


সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ–সংক্রান্ত চুক্তিও হয়ে গেছে। আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) চার দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলনের উদ্‌বোধনী অনুষ্ঠানে শপআপ ও সারির একীভূত হওয়া ও বড় বিনিয়োগের ঘোষণাটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারের কথা রয়েছে।


একীভূত হলেও কোম্পানি দুটি নিজের নামেই নিজ নিজ ব্যবসা ক্ষেত্রে ব্যবসা চালিয়ে যাবে। তবে দুটি প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত তহবিলের মাধ্যমে উপসাগরীয় অঞ্চল এবং এশিয়ার উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর বাজারকে লক্ষ্য করে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।


এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল শাখা এবং পিটার থিয়েলের ভ্যালার ভেঞ্চারস যৌথভাবে নবগঠিত বাণিজ্য প্ল্যাটফর্ম সিল্ক গ্রুপে ১১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিল সংগ্রহের নেতৃত্ব দিচ্ছে। ৯২৫ বিলিয়ন ডলারের পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সহায়ক সংস্থা সানাবিল ইনভেস্টমেন্টস এবং ভ্যালার কাতার ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকসহ বিনিয়োগকারীদের একটি গ্রুপে যোগ দিচ্ছে।


শপআপ বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় অনলাইন শপিং মার্কেট প্লেস, সারা দেশে ২০০ টিরও বেশি হাব পরিচালনা করছে কোম্পানিটি। অন্যদিকে সৌদি আরব, মিশর এবং পাকিস্তানে সারি’র কার্যক্রম রয়েছে। এটি একটি প্রযুক্তিনির্ভর বিটুবি মার্কেট প্ল্যাটফর্ম। যাদের কাজ হচ্ছে উৎপাদকের কাছ থেকে পণ্য সংগ্রহ করে দ্রুত তা ভোক্তার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করা। কোম্পানিটির ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে প্রায় দুই হাজার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করে তারা। কোম্পানিটি ৩০ হাজারের বেশি পণ্য সরবরাহ করে তাদের গ্রাহকদের কাছে।


শপআপের মতে, সৌদি আরবে বসবাসরত ৩০ লাখের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশাল ভূমিকা পালন করেন। এসব প্রবাসী বাংলাদেশি যাতে সৌদি আরবে বসে যেন সহজে বাংলাদেশের পণ্য পেতে পারেন, লক্ষ্যে সৌদি প্রতিষ্ঠান সারির সঙ্গে শপআপকে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


শপআপের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আফিফ জামান এখন থেকে সিল্ক গ্রুপের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। আর সারির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মোহাম্মদ আলদোসারি সিল্ক ফাইন্যান্সিয়ালের সিইও হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।


শপআপের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানান, শুধু সৌদি আরব নয়; খুব শিগগিরই আমরা মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলিতেও এটি চালু করার পরিকল্পনা করছি। আগামী দশকে উপসাগরীয়-দক্ষিণ এশিয়া বাণিজ্য করিডোর বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রুট হয়ে উঠবে। যেখানে ৬৮২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের বাণিজ্য হবে। আর শপআপ এই সুযোগটি কাজে লাগাতে চায় এবং একটি বিশ্বব্যাপী কোম্পানিতে পরিণত হতে চায়।  


শপআপের সঙ্গে একীভূতকরণের বিষয়ে সিল্ক গ্রুপের সিইও আফিফ জামান বলেন, ‘এই একীভূতকরণের মাধ্যমে আমরা বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্য করিডোরগুলো একটিতে প্রবেশ করছি, যা ৬৮২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির কিছু পরিষেবা প্রদানের জন্য সামনের আসনে আছি যা আগামী দশকগুলোতে বিশ্বব্যাপী ব্যবহারের ক্ষেত্র তৈরি করবে, বিশ্বজুড়ে আমাদের পণ্যগুলিতে আরও বেশি অ্যাক্সেস দেবে। ’ 


সহায়ক সংস্থা সানাবিল ইনভেস্টমেন্টসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, এই একীভূতকরণ সিল্ক গ্রুপের গভীরতা, দক্ষতা এবং পরিসর বাড়াবে। এই একীভূতকরণ সকল স্টেকহোল্ডারদের সুবিধা নিশ্চিতের জন্য আমরা কোম্পানির নেতৃত্বকে সমর্থন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


সিল্ক ফাইন্যান্সিয়ালের সিইও মোহাম্মদ আলদোসারি বলেন, ‘দুই প্রতিষ্ঠান একীভূত হয়ে আমরা কেবল আমাদের ব্যবসার ক্ষেত্র প্রসারিত করছি না; আমরা জিসিসি [গাল্ফ কোঅপারেশন কাউন্সিল] এবং এশিয়াজুড়ে উদীয়মান  ডিজিটাল বাণিজ্য কীভাবে ব্যবসায়ীদের সেবা দেয় তার বিপ্লব করছি। আগামী ছয় মাস ধরে কোম্পানিটি গ্রুপ পর্যায়ে লক্ষ্য অর্জনের ওপর মনোযোগ দেবে।  


তিনি আরও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত বিস্তৃত শুল্ক সিল্ক-এর জন্য সুযোগ তৈরি করবে, কারণ রপ্তানিকারকরা নতুন বাজার খুঁজছেন।  


পোস্টম্যানদের ই-বাইক দেওয়া হবে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

 পোস্টম্যানদের ই-বাইক দেওয়া হবে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

ঢাকা: বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সেবার মান বাড়ানোর জন্য কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।  



রানার বা পোস্টম্যানদের সময় বাঁচানোর জন্য তাদের


 ইলেকট্রিক বাইক (ই-বাইক) বরাদ্দ দেওয়ার হবে বলে জানান তিনি।


একইসঙ্গে পোস্টাল অ্যাড্রেস ডিজিটাইজেশন এবং অ্যাড্রেসের বিপরীতে জিও লোকেশন ম্যাপিং করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।


রোববার (১৩ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা জানান।  


তিনি জানান, ডাক বিভাগের সাথে বেসরকারি কুরিয়ার এবং পার্সেল সার্ভিস প্রদানকারী কোম্পানিগুলোর এমওইউ সই করে আরবান পার্সেল ডিস্ট্রিবিউশনের সঙ্গে সঙ্গে রুরাল ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক তৈরি করা। ডাক বিভাগ গ্রামীণ অঞ্চলে পার্সেল ডিস্ট্রিবিউশনে শক্তিশালী, অন্যদিকে বেসরকারি পার্সেল সার্ভিস প্রোভাইডার কোম্পানিগুলো শহরের শক্তিশালী। এ দুইয়ের কম্বিনেশন দেশের পার্সেল ডেলিভারি নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করবে বলে আশা করি।  পাশাপাশি আসন্ন আমের মৌসুমে ডাক বিভাগকে কিভাবে কাজে লাগানো যায় তার জন্য আমরা পরিকল্পনা তৈরি করছি।  


ড্রোন শো আসলে কী, কীভাবে ছবি ভেসে ওঠে আকাশে

ড্রোন শো আসলে কী, কীভাবে ছবি ভেসে ওঠে আকাশে


এবারের পহেলা বৈশাখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো এক ব্যতিক্রমী আয়োজন— ড্রোন শো। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত এই প্রদর্শনীতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন।



প্রযুক্তির আধুনিক ছোঁয়ায় এ বছর নববর্ষের উদযাপন পায় নতুন মাত্রা।

রঙিন আলোয় সন্ধ্যার আকাশে ভেসে ওঠে নানা প্রতীক ও বার্তা। বিশেষভাবে দর্শকদের মন কেড়ে নেয় ২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলনের প্রতিচ্ছবি, যা দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ এক অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত। পাশাপাশি এই প্রদর্শনীতে ফুটে ওঠে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশের দৃশ্য, যা মুহূর্তেই মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যায়।


বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা উপলক্ষে ড্রোন শোয়ের আয়োজন করা হয়। এই ড্রোন শো কীভাবে কাজ করে, তা নিয়ে জানতে রয়েছে ব্যাপক আগ্রহ। এবারের পহেলা বৈশাখের আগে ও পরে এ নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মনেও জানার আগ্রহ তৈরি হয়েছে।  


ড্রোন শো আসলে কী


ড্রোন শো-তে সিঙ্ক্রোনাইজড এক দল ড্রোন আকাশে আলোর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ছবি সৃষ্টি করে। একটি বিশেষ সফটওয়্যার ড্রোনগুলোর জন্য ফ্লাইট কমান্ড তৈরি করে, যা প্রতিটি ড্রোনের গতি এবং আলোর পরিবর্তন সুনির্দিষ্টভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। এসব ড্রোন একসঙ্গে মিলে আকাশে অসাধারণ ও মনোমুগ্ধকর দৃশ্য তৈরি করে।


গত কয়েক বছর ধরে ড্রোন শো বিশ্বব্যাপী বড় বড় ইভেন্ট দেখা যাচ্ছে। ২০১২ সালে পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রদর্শনী থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ইউরোপে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এই প্রযুক্তির উন্নয়ন শুরু করে। পরে সুপার বোল হাফটাইম শো ও শীতকালীন অলিম্পিকের মতো ইভেন্টে ড্রোন শোয়ের আয়োজন করে ইনটেল এই ধারণাটিকে জনপ্রিয় করে।  


ড্রোন শো ঠিক কীভাবে কাজ করে


প্রথমে ডিজাইন টিম একটি টাইমলাইন তৈরি করে, যেখানে নির্দিষ্ট কিছু ছবি ও ইফেক্ট থাকে। বিশেষ একটি সফটওয়্যার এসব ছবিতে অ্যানিমেশন যোগ করে, যেন ড্রোনগুলো অ্যানিমেশন অনুযায়ী চলতে পারে।


এর সঙ্গে একটি সাউন্ডট্র্যাকও থাকে। এরপর পুরো শোয়ের তথ্য রেডিও সিগন্যালের মাধ্যমে ড্রোনগুলোতে পাঠানো হয়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শো শুরু হয় এবং ড্রোনগুলো আকাশে ছবি আঁকতে শুরু করে।


একটি মনোমুগ্ধকর ড্রোন শোয়ের জন্য উপযুক্ত পরিকল্পনা ও প্রযুক্তি দরকার হয়। যেমন ভার্জ অ্যারো তাদের ড্রোন ও সফটওয়্যার বিশেষভাবে শো করার জন্যই তৈরি করে রেখেছে। এই ড্রোনগুলোতে ক্যামেরা নেই, তবে খুব উজ্জ্বল এলইডি রয়েছে, যা দিয়ে আকাশে সুন্দর ছবি দেখানো যায়।


ড্রোন শো পরিচালনা করেন অভিজ্ঞ ও অনুমোদিত পাইলটরা, যারা আকাশপথের নিয়ম-কানুন ও আবহাওয়া সম্পর্কে ভালো জানেন। প্রতিটি শোয়ের আগে একটি চেকলিস্ট ব্যবহার করে নিশ্চিত করা হয় যে সব ড্রোন ঠিকভাবে কাজ করছে, ব্যাটারিতে চার্জ আছে এবং আকাশপথ ফাঁকা।  


সবকিছু ঠিক থাকলে পাইলট ‘গো’ বোতাম চাপেন, আর তখনই ড্রোনগুলো আকাশে ছবি আঁকতে উড়ে যায়। ড্রোনগুলো জিপিএসসহ অন্যান্য সেন্সর ব্যবহার করে তাদের অবস্থান নির্ধারণ করে এবং একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়ায়।


কী ছিল ঢাকার বৈশাখী ড্রোন শোয়ে


বৈশাখী ড্রোন শো শুরু হয় সন্ধ্যা ৭টায়। প্রায় ১৫ মিনিটের প্রদর্শনীর শুরুতেই দেখা যায়, শোষণ-শাসনের খাঁচা ছেড়ে উড়াল দিচ্ছে পাখি। এরপরই দেখানো হয় অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ রংপুরের আবু সাঈদকে। আরও দেখানো হয় উত্তরায় বিক্ষোভকারীদের তৃষ্ণা মেটাতে  পানি বিতরণ করা সেই শহীদ মীর মুগ্ধকে।


পর্যায়ক্রমে আকাশে ভেসে ওঠে বিপ্লবে-সংগ্রামে নারীর অংশগ্রহণ, সাধারণ মানুষের প্রতীক হয়ে ওঠা রিকশাচালক, জাতীয় ফুল শাপলা, ১৯৭১ থেকে ২০২৪, জুলাই বিপ্লব, ফিলিস্তিনের জন্য প্রার্থনা, শান্তির দূত, চীন-বাংলাদেশের ৫০ বছরের বন্ধুত্ব এবং সব শেষে সবাইকে শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানো হয়।


এই ড্রোন প্রদর্শনীর আয়োজন করে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। কারিগরি সহায়তায় ছিল ঢাকায় চীনা দূতাবাস। দুই হাজার ৬০০ ড্রোনের মাধ্যমে প্রদর্শনীতে মোট ১২টি মোটিফ ফুটে ওঠে।

Friday, 18 October 2024

ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে

 ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে



আমাদের জীবনে এখন ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয়তা ও ব্যবহার কাজের জায়গার অনেকটাই দখল করে নিয়েছে। কিন্তু অনেক টাকা দিয়ে হাই-স্পিড ইন্টারনেটের কানেকশন নেওয়ার পরও যখন বাড়িতে বা অফিসে ঠিকমতো স্পিড পাওয়া যায় না, এটা সত্যি বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
 

বিশেষজ্ঞরা বলেন, কম স্পিডের জন্য ইন্টারনেট প্রোভাইডারের দোষ না দিয়ে আগে এই কাজগুলো করে দেখুন

•    ইন্টারনেটে গতি বাড়াতে রাউটারের ফ্রিকোয়েন্সি ৫ গিগাহার্টজ রাখুন
•    রাউটারের ওপর নজর দিন রাউটারটিতে যেন লেটেস্ট ফার্মওয়্যার থাকে

•    রাউটারটিকে দেয়ালের কাছে না রেখে দূরে খোলা জায়গায় রাখুন

•    বদ্ধ জায়গায় রাখলে ইন্টারনেটের গতি কমে যেতে পারে

•    ভালো গতি পেতে ওয়াই-ফাই রাউটার মোবাইল ফোন, রেডিও ও টেলিভিশনের পাশে রাখবেন না

•    নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সেটিংসে গিয়ে ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন

যদি সব কিছু করার পরও ভালো গতি না পান, তবে পুরোনো ওয়াই-ফাই বদলে নতুন ওয়াই-ফাই নিতে পারেন। বাজারে ৮০০-১০০০ টাকার ভেতরেই ওয়াই-ফাই রাউটার কিনতে পাওয়া যায়।